কলকাতা: এক সময় ভারতীয় নাগরিকেরা ছাত্রাবস্থায় অর্থোপার্জনে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না। ইতিউতি গৃহশিক্ষকতার বাইরে আর তেমন কোনও কাজে তাঁদের আগ্রহ ছিল না। তবে পশ্চিমী দেশগুলোতে এ প্রবণতা দীর্ঘদিনের।
ইদানীং পড়ুয়াদের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং-য়ের আগ্রহ বাড়ছে। আর শুধু পড়ুয়াদের মধ্যেই নয়, বহু পেশাদার ব্যক্তিও এতে আগ্রহী। ফ্রিল্যান্সিং-এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল সময়। কে কতটা সময় কাজ করবেন তা তিনিই ঠিক করতে পারেন। সেই অনুযায়ী উপার্জন করা সম্ভব। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু কাজের হদিশ—
থাম্বনেইল শিল্পী বা ভিডিও এডিটর
আজকাল যে কোনও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও-র রমরমা। ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব বা যে কোনও ওয়েবসাইট চেষ্টা করে অডিও ভিজ্যুয়াল মাধ্যম নিজেদের প্রকাশ করতে। ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার বাজারে ‘কনটেন্ট ক্রিয়েটর’দের জন্য আকর্ষণীয় থাম্বনেল এবং ভাল ভিডিও এডিটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
থাম্বনেল হল প্রথম পদক্ষেপ যা দর্শককে আকর্ষণ করবে। অনেক ‘কনটেন্ট ক্রিয়েটর’রা থাম্বনেল তৈরির জন্য ইন্টার্ন নিয়োগ করেন। যে কোনও ব্যক্তি সামান্য শিল্পসত্তার অধিকারী হলেই ‘ক্যানভা’ বা সমতুল কোনও প্লাটফর্মে থাম্বনেল তৈরি করে ফেলতে পারেন। ইন্টারনেটে ফ্রিল্যান্স ভিডিও এডিটিং সংক্রান্ত চাকরি খুঁজলেই পাওয়া যেতে পারে। তবে নিয়োগকারী সংস্থা সম্পর্কে একটু যাচাই করে নেওয়া ভাল। আজকাল সর্বত্র জালিয়াতি বেড়েছে।
ইউটিউব চ্যানেল
যে কোনও সময় নিজের ইউটিউব চ্যানেল শুরু করা যেতে পারে। কিন্তু বিষয়বস্তু কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। হিরে থেকে জিরে পর্যন্ত সবই হতে পারে ইউটিউবে প্রদর্শনের বিষয়বস্তু। নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ সেই চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে ফেললেই অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে। নিজের ভিডিও-তে বিজ্ঞাপন দিয়ে অনলাইনে অর্থও পাওয় যেতে পারে।
অনলাইন সমীক্ষা
অনেক সংস্থাই অনলাইনে কয়েকটি সহজ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য অর্থ প্রদান করে। এগুলি সাধারণত পণ্য এবং পরিষেবা ভিত্তিক সংস্থা। তারা বাজার কোনও পণ্য বা পরিষেবা চালু করার আগে নির্দিষ্ট গ্রাহক সম্পর্কে ধারণা পেতে জরিপ করে নেয়। গড়ে ১০-২৫ টি প্রশ্নের উত্তর দিলে প্রতি ঘন্টায় ১০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যেতে পারে।
সাবটাইটেল
কোনও সিরিজ, ভিডিও দেখে বা অডিও শুনে সাবটাইটেল লেখাও এক ধরনের কাজ। অর্থাৎ সারা রাত একটি ওয়েব সিরিজ দেখার জন্য টাকা পাওয়া যেতে পারে। goTranscript.com এমন কাজ করে থাকে। শুধু তাই নয়, অনেক পডকাস্টারও তাঁদের সম্প্রচারের লিখিত রেকর্ড তৈরি করতে GoTranscript-এর মতো ট্রান্সক্রিপশন পরিষেবা ব্যবহার করে।
নিজের মনের মতো ফ্রিল্যান্স বা চুক্তি ভিত্তিক কাজের প্রকল্পে যোগ দেওয়া যেতে পারে। তা কপিরাইটিং হোক, সার্ভিসিং হোক বা এক্সিকিউটিং, অনলাইনে প্রচুর ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ রয়েছে।