খুরমা-টিকিয়া-কাচকাচওয়া-লিট্টিয়া যে নামেই ডাকুন, ছানার এই দেশি মিষ্টি সুপারহিট!

খুরমা-টিকিয়া-কাচকাচওয়া-লিট্টিয়া যে নামেই ডাকুন, ছানার এই দেশি মিষ্টি সুপারহিট!

বক্সার: বিহারের বক্সার জেলায় ছানা থেকে তৈরি লিট্টিয়া মিষ্টি আজকাল অসম্ভব জনপ্রিয়। শুধু দেশেই নয় বিদেশেও এর চাহিদা রয়েছে। আকালুপুর গ্রামের বাসিন্দা ধর্মেন্দ্র যাদবের মিষ্টির দোকানটি ডুমরাঁ রেলস্টেশনের পূর্ব গেটের কাছে অবস্থিত। যেখানে লিট্টিয়া মিষ্টি ছাড়াও চা, বিস্কুট ও নাস্তা বিক্রি হয়। দোকানদার ধর্মেন্দ্র যাদব বলেন, ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো স্থানীয় রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিম গেটে লিট্টিয়া মিষ্টির দোকান শুরু হয়। ভালই চলছিল এই মিষ্টির ব্যবসা। এরপর ২০১২ সালে স্টেশনের পূর্ব গেটে একটি নতুন দোকান খোলা হয়।

ধর্মেন্দ্র বলেছেন যে তাঁর ভাই সুরেশ যাদব এবং উমেশ যাদব পুরনো দোকানে বিক্রির কাজ দেখাশোনা করেন। তাঁরা নিজেরাই মিষ্টি তৈরি করেন এবং উভয় দোকানে বিক্রি করেন। তিনি জানান, একটি বড় কড়াইতে একসঙ্গে ২০ কেজি মিষ্টি তৈরি করা হয়। এর জন্য ২৬ কেজি ছানা এবং ৫ কেজি চিনি ও জল প্রয়োজন হয়। তিনি আরও জানান, কাঠের আগুনে একটানা তিন ঘণ্টা রান্না করা হয়। এতে চিনি ও জল ছাড়া আর কিছুই যোগ করা হয় না। একটানা তিন ঘণ্টা উনুনে রান্না করলে মিষ্টির রং লাল হয়ে যায়। তিনি জানান, এক কেজি মিষ্টি তৈরি করতে খরচ হয় ৩৫০ টাকা, আর বিক্রি হয় ৪০০ টাকা কেজি দরে।

দোকানদার ধর্মেন্দ্র জানান, এই মিষ্টির এক টুকরার ওজন ১০০ গ্রাম। এমন অনেক কাস্টমারও আসেন যাঁরা এক টুকরো খেতে চান, সেক্ষেত্রে নেওয়া হয় ৪০ টাকা। প্রতিদিন তাঁর দোকানে ২৫ কেজি লিট্টিয়া মিষ্টি বিক্রি হয়। এই মিষ্টি কোনও প্রকার ভেজাল ছাড়াই খাঁটি ছানা দিয়ে তৈরি করা হয়। উপোস ভাঙার সময় ভক্তরা খান এই মিষ্টি। তিনি বলেন, শ্রাবণ ও নবরাত্রির সময় মিষ্টি বিক্রি দ্বিগুণ হয়, যার কারণে আয়ও দ্বিগুণ হয়। সব খরচ বাদ দিয়ে লিট্টিয়া মিষ্টি থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা লাভ হয় তাঁদের, এই টাকাতেই সংসার চলে।

ধর্মেন্দ্র জানান জনপ্রিয় ভাষায় একে লিট্টিয়া মিষ্টি বলা হয়, তবে এর আরও অনেক নাম রয়েছে। লোকেরা একে ধরমধস, বেলগ্রামী, খুরমা, টিকিয়া, কাচকাচওয়া ইত্যাদি নামেও চেনেন। তিনি জানান, সৌদি আরব, কুয়েত, ওমান, কাতার প্রভৃতি দেশে এই মিষ্টির চাহিদা রয়েছে।

(Feed Source: news18.com)