শুভ্রজিতের ‘দেবী চৌধুরাণী’-র সৌজন্যে প্রথমবার বাংলা ছবির জন্য কাজ করবেন শ্যাম কৌশল

শুভ্রজিতের ‘দেবী চৌধুরাণী’-র সৌজন্যে প্রথমবার বাংলা ছবির জন্য কাজ করবেন শ্যাম কৌশল

কলকাতা: তাঁর অ্যাকশন পরিচালনাতেই জীবন্ত হয়ে উঠেছিল ‘বাজিরাও মস্তানি’ (Bajirao Mastani), ‘পদ্মাবত’ (Padmabat) বা ‘মণিকর্ণিকা’ (Manikarnika)-র মতো ছবির যুদ্ধের দৃশ্য। আর এবার সেই অ্যাকশন ডিরেক্টর পরিচালনা করবেন বাংলা ছবির যুদ্ধের দৃশ্য! পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র (Subhrajit Mitra)-র নতুন ছবি ‘দেবী চৌধুরানী’ (Devi Chowdhurany)-র অ্যাকশন সিকোয়েন্সের পরিকল্পনার দায়িত্বে থাকছেন ভিকি কৌশলের (Vicky Kaushal)-এর বাবা শ্যাম কৌশল (Shyam Kaushal)।

এই প্রথম বাংলায় কাজ করবেন শ্যাম কৌশল। পরিচালক শুভ্রজিৎ এবিপি লাইভকে (ABP Live)-কে জানিয়েছেন, শ্যুটিং শুরুর আগে কলকাতায় আসবেন শ্যাম কৌশল ও তাঁর টিম। ছবির কলাকুশলীদের অ্যাকশন নিয়ে একাধিক ওয়ার্কশপও করাবেন তিনি। ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্র শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee), প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) সহ প্রায় সমস্ত অভিনেতা অভিনেত্রীদেরই কমবেশি অ্যাকশন রয়েছে। আর সেই সমস্ত প্রশিক্ষণই দেবে শ্যাম কৌশলের টিম। এই ছবিতে যেহেতু সন্ন্যাসী আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হবে, সেইমতোই পরিকল্পনা করা হয়ে অ্যাকশন সিকোয়েন্সগুলি।

শুভ্রজিৎ আরও জানিয়েছেন, ছবির চিত্রনাট্য মনে ধরেছে শ্যাম কৌশলজীর। সেই কারণেই এবার প্রথম বাংলা ছবির কাজ করছেন পরিচালক। ছবির টেক রেকির সময়ও আসার কথা শ্যাম কৌশলের। প্রত্যেকটা যুদ্ধের দৃশ্যে যাতে নিখুঁত ও বিশ্বাসযোগ্য হয়, সেটা নিয়ে আরও কাজ করছেন তাঁরা। পরিচালক জানাচ্ছেন এখনও দেরি রয়েছে শ্যুটিংয়ের। ফ্লোরে যাওয়ার আগে প্রয়োজন বেশ অনেকটা প্রস্তুতির। যতই হোক, ইতিহাস, উপন্যাস আর আবেগের মিশেলকে পর্দায় তুলে ধরা নেহাত সহজ কাজ নয়।

এই ছবিতে ‘দেবী চৌধুরানী’-র ভূমিকায় দেখা যাবে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)-কে। এছাড়াও ছবিতে রঙ্গরাজ-এর ভূমিকায় থাকছে নতুন চমক। বিবৃতি চট্টোপাধ্যায় (Bibriti Chatterjee) ও দর্শনা বণিক (Darshana Banik)-কে দেখা যাবে নিশি এবং সাগরের চরিত্রে। এছাড়াও এই ছবিতে ব্রজেশ্বরের ভূমিকায় দেখা যাবে কিঞ্জল নন্দ (Kinjal Nanda)-কে। এখনও প্রকাশ্যে আসেনি ছবির লুক।

এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ভবানী পাঠক হয়ে ওঠার সফরের শুরুর কথা জানিয়েছিলেন শুভ্রজিৎ। সেই সময় এবিপি লাইভকে শুভ্রজিৎ বলেছিলেন,  ‘আমার ছবির ভবানী পাঠক উপন্যাস থেকে উঠে আসেননি। এই ভবানী পাঠক ঐতিহাসিক। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আর্কাইভালে ভবানী পাঠকের যে বর্ণনা পাওয়া যায়, সেখান থেকেই আমি খসড়া চিত্র তৈরি করেছিলাম। ভবানী পাঠক ছিলেন গোরক্ষপুরের বাসিন্দা। দশনামী সম্প্রদায়ের এক প্রবীণ সন্ন্যাসী ছিলেন তিনি। ভবানী পাঠক ব্রাহ্মণ সৈনিকও।’

(Feed Source: abplive.com)