প্রবল গ্রীষ্মে জ্বলছে গোটা দেশ। মে মাস পড়তে না পড়তেই শুরু হয়েছে তীব্র দাবদাহ। পশ্চিমের রাজ্যগুলির অবস্থা শোচনীয়। গত এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে।
এদিকে গরম থেকে রেহাই পেতে সরকারি স্কুলের এক পড়ুয়া ফেলে দেওয়া নানা জিনিস থেকে তৈরি করে ফেলেছে চমৎকার এক এয়ার কুলার। ওই পড়ুয়ার পরিবার এখন সেই এয়ার কুলার থেকেই শীতল বাতাস উপভোগ করছে। সব থেকে বড় কথা সেই এয়ার কুলারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ভয় নেই। কারণ এর আধার হিসেবে রয়েছে একটি প্লাস্টিকের জলের ট্যাঙ্ক।
আবর্জনায় পড়ে থাকা নানা জিনিস ব্যবহার করে মাত্র তিন দিনে এই কুলার তৈরি করেছে ওই ছাত্র। মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার সনোধা গ্রামের বাসিন্দা শিবম গৌতম এই বছর দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
একটি অকেজো কুলারের পুরনো মোটর বের করে নেয় শিবম। তারপর একটি প্লাস্টিকের ভাঙা ট্যাঙ্ক, নতুন কেনা ওয়াটার পাম্প, ফ্যানের স্টিক এবং কিছু স্ক্রু দিয়েই বানিয়ে ফেলে এই কুলার।
ভাঙা জলের ট্যাঙ্কটিকেই আধার হিসেবে ব্যবহার করেছে শিবম। তার সামনের অংশ কেটে বসিয়েছে পাখা। ভিতরে রয়েছে জল দেওয়ার ব্যবস্থা। ট্যাঙ্কের ঢাকনা উপর থেকে বন্ধ করে দেওয়া যায়।
কুলারটি এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে কুলার এবং জলের পাম্প একসঙ্গে সংযুক্ত থাকে, তবে পাম্পের জন্য একটি পৃথক সুইচ দেওয়া হয়েছে। যদি পাম্পটি চালু বা বন্ধ করতে হয়, তবে প্রয়োজন অনুসারে এটি চালু বা বন্ধ করা যেতে পারে।
তবে শিবম মনে করে আরও কিছু অংশে কাজ করা এখনও বাকি। শিবম বলে, ‘পাখার সামনের অংশ এখনও খোলা আছে। জাল কিনতে বাজারে গিয়েছিলাম, পাইনি।’
মনের মতো একখানা জাল খুঁজতে এবার শহরে যাবে শিবম। একবার জাল বসানো হয়ে গেলেই কুলারটি সম্পূর্ণ নিরাপদ হয়ে যাবে। তবে পরিবার ও প্রতিবেশীর শিশুরা যাতে কুলারের কাছে গিয়ে বিপদ না বাঁধিয়ে ফেলে সেই চিন্তায় সব সময় সতর্ক সে।