জিভের ঘা থেকে হিমোগ্লোবিন, তেঁতো হেলেঞ্চার গুণের শেষ নেই! খাবেন কীভাবে? জানুন

জিভের ঘা থেকে হিমোগ্লোবিন, তেঁতো হেলেঞ্চার গুণের শেষ নেই! খাবেন কীভাবে? জানুন

গোঘাট: বাংলার চিরাচরিত নিয়ম মেনে একসময় হেলেঞ্চা বা হিঞ্চে-আলু সেদ্ধ মাখা, শাকের বড়া বা কখনও তার সঙ্গে লেজুড় উচ্ছে আর লাউ দিয়ে হড়হড়ে বিউলির ডাল। বাড়িতে বসে সকলের সঙ্গে দুপুরের পাতে সেই সব বিভীষিকার মোকাবিলায় কত বার যে চোখের-জলে-নাকের-জলে হতে হয়েছে, তার হিসেব রাখা হয়নি। এই হিঞ্চে শাকের তেঁতো পদের গলা পার হওয়া কি চাট্টিখানি ব্যাপার?

কিন্তু এখন এই হিঞ্চে শাক দিয়ে তৈরি হচ্ছে চপ বা পকোড়া। যা শহর অঞ্চলে তুলনায় প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে ব্যাপক হারে হিঞ্চে চপের চাহিদা বেশি। হুগলি জেলার গোঘটের এই চপ বানিয়ে সাড়া ফেলেছেন বিক্রেতা হারাধন মণ্ডল। এই হেলেঞ্চা পাতা চপ স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর ও মুখরোচক। জানা যায়, চপ বানাতে হেলেঞ্চা শাক ছাড়াও লাগে ময়দা,  চালের গুঁড়ো, আদা বাটা, হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো ও লঙ্কার গুঁড়ো। সব এক সঙ্গে মেখে গরম তেলে ভেজে তৈরি হয় এই সুস্বাদু চপ। মাত্র ৫ টাকায় হেলেঞ্চা পাতার চপ তৈরি করতে না করতেই ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়ে হারাধন বাবুর দোকানে।

হেলেঞ্চার চপ

উল্লেখ, এই শাকের বহু উপকারিতা নিয়মিত খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণও বাড়ে। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য, হাঁপানি, ডায়রিয়া ও স্নায়ুরোগের ভেষজ চিকিৎসায় হেলেঞ্চা পাতার জুড়ি মেলা ভার। এই হেলেঞ্চা পাতার পকোড়া হারাধান বাবু মাত্র পাঁচ টাকায় বিক্রি করছেন। এই বিষয়ে হারাধন বাবু জানান, “দোকানে সন্ধে হতে না হতেই বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। হেলেঞ্চা পাতা এই গরমে ভীষণ উপকারী এই পাতা। তাই স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর এই হেলেঞ্চা পাতা দিয়ে চপ বিক্রি করছেন দুবছর ধরে।”

আশপাশে আর কোনও দোকানেই পাওয়া যায় না। এই হেলেঞ্চা পাতা তিনি বিভিন্ন গ্রামগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করে আনেন। অন্যদিকে, এক ক্রেতা জানান, “হেলেঞ্চা পাতা ভাতে খেতে ‌যতটা খারাপ ততটাই অসাধারণ চপের টেস্ট।” মুচমুচে টেস্টি চপ একবার খেলেই বারবার দোকানে আসছেন ক্রেতারা।

(Feed Source: news18.com)