Jeetu Kamal: 'নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে জিৎদার সঙ্গে ছবি করতাম না…' বিস্ফোরক জীতু!

Jeetu Kamal: 'নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে জিৎদার সঙ্গে ছবি করতাম না…' বিস্ফোরক জীতু!

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সোমবার আচমকাই সোশ্যাল মিডিয়ায় জীতু কমল(Jeetu Kamal) ঘোষণা করেন যে এম এন রাঞ্ঝের আগামী ছবি এম-সিক্সটিনে তিনি আর অভিনয় করবেন না। ইতোমধ্যেই এই ছবির পোস্টার সামনে এসেছে। তাহলে কেন রাতারাতি এই সিদ্ধান্ত নিলেন জীতু? কারণ জানতে জীতু কমলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে বললেন, ‘প্রথমত, সময়ের অভাবের কারণে ছেড়েছি। প্রতিদিনই চিত্রনাট্য পরিবর্তন হয়। আপনারা যে পোস্টার দেখেছেন সেখানে আমার মুখ কেটে বসানো হয়েছে, অনুমতি ছাড়াই। ওই পোস্টারের শরীরটা আমার নয়। টিজার শ্যুটের সময় যে গল্প বলেছিল তার সঙ্গে চিত্রনাট্যের কোনও মিল নেই। বিহাইন্ড দ্য সিনের ছবি পোস্ট করে দেয়, এগুলো খুবই অপেশাদারিত্ব’।

নাম না করেই জীতুকে উদ্দেশ্য করে একটি পোস্ট করেন ছবির পরিচালক। তিনি লেখেন, ‘আমি ভীষণ ভাবে মর্মাহত। মর্মাহত এই জন্য না যে আমার ছবি থেকে প্রধান চরিত্র সাইন অফ করেছেন, মর্মাহত এই ভেবে যে ইন্ডাস্ট্রি আজ কোন রসাতলে চলে যাচ্ছে। আজ থেকে তিরিশ-চল্লিশ বছর আগে বা অতদূরে না গেলেও চলবে, আজ থেকে সাতেরো, আঠেরো বছর আগে, একি ছবিতে দুজন প্রধান অভিনেতা দাপিয়ে অভিনয় করে গেছেন, দর্শকদের মন জয় করে ফেলেছেন, সেই ছবি পরবর্তীতে বাম্পার হিটও হয়েছে। কিন্তু আজ পরিস্থিতি এমন হয়েছে, দাপিয়ে অভিনয় করা তো দূরে থাক, দুজন প্রধান অভিনেতা একসাথে কাজ করতে চান না। কী না একজন থাকলে, অন্যজনে কমপ্লেক্সিটিতে ভুগবে বা উল্টোটা। আজ ছবির ক্রিয়েটার হয় একজন পরিচালক। সে যে ওয়েতে ছবিটা ভাবছে সেটা হবে, নাকি সদ্য সদ্য খ্যাতির তালিকায় ওঠা অভিনেতা যেটা চাইছে সেটা হবে? সিনেমা একটা ডিরেক্টরস মিডিয়াম টু কানেক্ট দা অডিয়েন্স… সেখানে চিত্রনাট্য যা লিখব, বা যেরকম ভাবে সাজাবো, সেটাই তো হওয়া উচিৎ তাইনা… নাকি একজন অভিনেতার হস্তক্ষেপ থাকবে সেখানেও। আজ দশ দিন, কঠোর পরিশ্রম করে, সিনেমার ২৫%-৩০% শুট করে যদি জানতে পারি একটা ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে যে আমার ছবির মুখ্য অভিনেতা এই ছবি করতে চাইছেন না, তখন ভীষণই খারাপ লাগে। একটা ছোট্ট বিষয় যেটা কথার মাধ্যমে মিটে যেতে পারত, সেটা এতখানি দীর্ঘ আর হতো না।’।

পরিচালকের এই পোস্ট সম্পর্কে বিশেষ অবগত নন জীতু। তবে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি কারোর ক্ষতি করিনি, এটুকু বলতে পারি। আমি শ্যুট করিনি, কনট্রাক্টে যাইনি, টাকা মেরে আসিনি। আমি যদি শ্যুট করতাম তাহলে ওর পিছনে পড়ে থাকতাম, ছবি বানানোর জন্য। কিন্তু আমি বুঝলাম, এটা আর হবে না। ও অঙ্কুশের সঙ্গে ঝামেলা-ঝগড়া করবে বলে ছবি বানাচ্ছে। ছবি বানানোর জন্য বা ভালোলাগার জন্য ছবি বানাচ্ছে না। অঙ্কুশ কী করছে, সেটায় ওর বেশি চিন্তা।’

পরিচালকের দাবি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন জীতু। এই প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ‘আমি যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতাম তাহলে আমি জিৎদার সঙ্গে কাজ করতাম না। একদিকে জিৎদা সুপারস্টার, তাঁর ফ্যান ফলোয়ার বিশাল। আমি শুনেছিলাম জিৎদা নাকি সবার সিন কেটে দেয়। কিন্তু আমার সঙ্গে এমন কিছু ঘটেনি। আমাকে প্রচুর ফুটেজ দিয়েছে। আমার কাজ প্রশংসিতও হয়েছে। যাঁদের কথা বলছেন তাঁদের সঙ্গে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগব না, বরং কনফিডেন্স পাব’।

অন্যদিকে জীতুর পাশে দাঁড়িয়েছেন অঙ্কুশ হাজরা। অভিনেতা লেখেন, ‘আমি হাত জোর করে ইন্ডাস্ট্রির ভেতরের কিছু মানুষ কে অনুরোধ করছি দয়া করে সব কিছু জেনে শুনে ভুল মানুষ কে সাপোর্ট করে ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি করবেন না। বাইরে থেকে প্রচুর ভুলভাল মানুষরা এসে নতুন অভিনেতা অভিনেত্রীদের স্বপ্ন দেখিয়ে ঠকিয়ে নিজের টা গোছাচ্ছে। আর পুরনো অভিনেতা দের জালি কাগজ আর নকল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেখিয়ে ঠকাচ্ছে। আমি নিজে তার শিকার হয়েছি আর বাকিদেরও সাবধান করেছি। একেই হিন্দি ছবির মার্কেট একের পর এক ভয়ঙ্কর শর্ত রেখে এখানে ওয়েস্ট বেঙ্গল এ ছবি রিলিজ করছে যেটাতে আমাদের বাংলা ছবিকে অনেক চ্যালেঞ্জ এর মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বাংলা কমারশিয়াল ছবির প্রতি যে মানুষের হারানো বিশ্বাস সেটাকে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এমনিতেই সবাই বাংলা ছবিকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই লড়ছি সেখানে দয়া করে এই অযোগ্য মিথ্যে কিছু লোকজন দের জেনে শুনে আস্কারা দেবেন না। আর একজন পরিচালক কে বলতে চাই যতদিন না আপনি একটু হলেও নাম করছেন ততদিন দয়া করে সদ্য নাম করা অভিনেতাদের অপমান করবেন না বা বিচার করবেন না। কারন আপনি এখনও সেই সদ্য নাম করা জায়গাটাতেই পৌঁছননি’।

(Feed Source: zeenews.com)