‘জেলবন্দি করে রাখলেও, মনে রয়ে গিয়েছে কেষ্ট’, বীরভূমি দাঁড়িয়ে অনুব্রতর কথা মমতার মুখে

‘জেলবন্দি করে রাখলেও, মনে রয়ে গিয়েছে কেষ্ট’, বীরভূমি দাঁড়িয়ে অনুব্রতর কথা মমতার মুখে

সিউড়ি: এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলে অনুব্রত মণ্ডল। মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও দিল্লির তিহাড় জেলেই রয়েছেন। বীরভূমের রাজনীতিতে তাঁর অভাব যেমন বোধ করছে তৃণমূল, ‘কেষ্ট’র অনুপস্থিতি নিৃয়ে এবার মুখ খুললেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। বীরভূমে প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়ে অনুব্রতকে কতদিন জেলে আটকে রাখা হয়েছে, সেই কথা তুলে ধরলেন তিনি। (Mamata on Anubrata)

রবিবার সিউড়িতে সভা করেন মমতা। সেখানেই অনুব্রতর কথা উঠে আসে তাঁর মুখে। মমতা বলেন, “বীরভূমে চক্রান্ত চলছে। কেষ্টকে কতদিন ধরে জেলে ভরে রেখেছে। কিন্তু মানুষের মন থেকে ওকে দূর করতে পারেনি। আমি তো আসতে আসতে দেখছিলাম, তরুণ প্রজন্ম ওর কথা বলছে। আমি কাউকে শিখিয়ে দিইনি।  আমি মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখছিলাম। ও কাজ করেছে, ও কাজ করতে জানে।”

অনুব্রতর বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ থাকেও, বিজেপি-র বহু নেতার বিরুদ্ধেই এমন অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেই প্রশ্নও তোলেন মমতা। তিনি বলেন, “যদি ওর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকে। একই অভিযোগ আপনাদের কতজন নেতার বিরুদ্ধে রয়েছে? আজ পর্যন্ত একটা ব্যাপারেও ব্যবস্থা নিয়েছেন? BSF-কে লেলিয়ে দিয়েছেন। চোপড়ায় চারটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ক’টা টিম গিয়েছে, বিলকিস, দলিতদের উপর অত্যাচারে ক’টা টিম গিয়েছিল? বাংলায় শুধু জট পাটানোর চেষ্টা করেন আপনারা, আমরা খোলার চেষ্টা করি।”

সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়েও এদিন ফের মন্তব্য করেন মমতা। তিনি বলেন, “একটা ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা ঘটানো হয়েছে। প্রথমে ED-কে পাঠিয়েছে। তার পর তাদের বন্ধু BJP ঢুকেছে। তিলকে তাল করা হয়েছে। শান্তির পরিবর্তে আগুন লাগাচ্ছে। আমি অফিসার পাঠাব, যার যা অভিযোগ আছে, বলবেন। কেউ যদি কিছু নিয়ে থাকে, সব ফেরত দেওয়া হবে। আজ পর্যন্ত কোনও মহিলা, কোনও অভিযোগ করেননি। আমি পুলিশকে বলি, স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পদক্ষেপ করতে। আমাদের ব্লক প্রেসিডেন্ট গ্রেফতার হয়েছেন। আমি কিছু বললে, করে দেখাই। ভাঙড়ে আরাবুলও তো গ্রেফতার হয়েছে। ও তো আমাদের কর্মী! তোমরা কতজনকে গ্রেফতার করেছো।”

এদিন ইঙ্গিপূর্ণ মন্তব্যও করেন মমতা। বলেন, “আমি কি পারি না গদ্দারদের অ্যারেস্ট করতে। একটু সময় দিচ্ছি। সুতো ছাড়ছি। গদ্দারদের সব চুরি, দুর্নীতির মামলা…সবাইকে বলে চোর। ওরা চোরেদের ঠাকুরদা। মায়েরা বলেন, শূন্য কলসি বড্ড বাজে বেশি। এরা হচ্ছে শূন্য কলসি। কিচ্ছু নেই। দিল্লি হ্যাঁ বললে ধিতাং ধিতাং বলে নৃত্য করে। না বললে মন খারাপ করে ঘরে বসে থাকে। দিল্লির দয়ায় রাজনীতি করে। বাংলাকে ভালবাসে না। এরা বাঙালিবিরোধী, মহিলাবিরোধী, দলিত বিরোধী, কৃষক বিরোধী।”

(Feed Source: abplive.com)