কলকাতা: ভারতে হাজার হাজার প্রকারের ভেষজ উদ্ভিদ পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদ বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য এই ভেষজ উদ্ভিদগুলি ব্যবহার করে আসছে। আজকাল দেশের বেশিরভাগ রোগীই ডায়াবেটিসে ভুগছেন। এমন পরিস্থিতিতে এই ভেষজ উদ্ভিদ খুবই উপকারী।
খারাপ জীবনযাপন এবং অনিয়মিত খাদ্যাভাসের কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ডায়াবেটিস রোগীদের তাঁদের শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এমতাবস্থায় রোগীদের জন্য সবচেয়ে ভাল ওষুধ হচ্ছে ইনসুলিন প্ল্যান্ট।
বারমের মাতা সতী দক্ষিণানী মন্দিরের পুরোহিত বাসুদেব জোশী তাঁর মন্দিরে শত শত ঔষধি গাছ লাগিয়েছেন, তার মধ্যে একটি হল ইনসুলিন প্ল্যান্ট। এর পাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যে কোনও ওষুধের মতোই কার্যকরী। ইনসুলিন প্ল্যান্টে উপস্থিত বিভিন্ন গুণাবলী রক্তচাপ, চোখ, শর্করা, অন্ত্র এবং হার্ট সংক্রান্ত সমস্যাগুলিতেও অত্যন্ত উপকারী।
ইনসুলিন গাছের পাতায় প্রোটিন, ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, কার্বলিক অ্যাসিড, টেরপেনয়েড পাওয়া যায় যা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। পুরোহিত বাসুদেব জোশী জানিয়েছেন যে তিনি নয়ডা এবং ভরতপুর থেকে এর অনলাইন অর্ডার করিয়েছিলেন। তিনি ফেসবুক থেকে অনলাইনে অর্ডার করেছিলেন, ফলে সব মিলিয়ে তিনি প্রায় ৮০ টাকায় এক একটি গাছ পেয়েছেন।
তিনি আরও জানান যে, এটি মার্চ-এপ্রিল মাসে রোপণ করা হয় এবং নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস থেকে ব্যবহার করা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, যে রোগীর শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ কম তাঁদের ইনসুলিন ইনজেকশন নেওয়ার প্রয়োজন না হলে তাঁরা এই গাছের পাতা ব্যবহার করতে পারেন। এর পাতা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে। এর পাতা চওড়া ও হালকা সবুজ রঙের হয়, এতে ছোট ছোট লাল ফুলও ফোটে।
ইনসুলিন গাছ বছরের যে কোনও সময় রোপণ করা যেতে পারে। এটি একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ যার উচ্চতা আড়াই থেকে তিন ফুট। বর্ষাকালে এটি রোপণ করা ভাল, এতে গাছ সতেজ থাকে। বাড়িতে এটি লাগাতে হলে টবে সঠিক অনুপাতে সার এবং মাটি রেখে জল দিতে হবে। এটি যে কোনও ধরনের পাত্রেই লাগানো যেতে পারে।
(Feed Source: news18.com)