সারাদিন রোদ, খেলা হল না এক বলও, অভিমন্যুর শততম ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর আশঙ্কা বাংলার?

সারাদিন রোদ, খেলা হল না এক বলও, অভিমন্যুর শততম ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর আশঙ্কা বাংলার?

কলকাতা: সারাদিন খটখটে রোদ। কিন্তু তাতেও খেলা হল না এক বলও। টসও হল না। কল্যাণীতে বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে বাংলা বনাম বিহার রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ম্যাচের একদিন নষ্ট হল ভিজে মাঠের জন্য।

প্রথম ম্যাচে উত্তর প্রদেশের বিরুদ্ধে তাদের ডেরায় গিয়ে ৩ পয়েন্ট ছিনিয়ে আনার পর বিহারের বিরুদ্ধে বোনাস পয়েন্টের স্বপ্ন দেখছিল বাংলা। এই ম্যাচ প্রথমে ইডেনে (Eden Gardens) হওয়ার কথা ছিল। তবে ইডেনে সিনিয়র মহিলাদের বোর্ডের ম্যাচ পড়ায় বাংলা বনাম বিহার রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কল্যাণীতে। শুক্রবার যে ম্য়াচ শুরুই করা গেল না।

কিন্তু কেন?

বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রবল বৃষ্টি হয় কল্যাণীতে। তবে ইডেনের মতো কল্যাণীতে পুরো মাঠ ঢাকার বন্দোবস্ত নেই। বৃষ্টি হলে ঢেকে রাখা হয় শুধু পিচ। তাই বৃহস্পতিবারের বৃষ্টিতে মাঠে জল দাঁড়িয়ে যায়। মাঠের জল নিষ্কাশনী ব্যবস্থাও আধুনিক মানের নয়। শুক্রবার সারাদিন রোদ থাকলেও তাই মাঠ শুকল না। ওপর ওপর মাঠ শুকনো দেখালেও ভেতর ভেতর তা এমনই ভিজে ছিল যে, পা ঢুকে যাচ্ছিল। এই মাঠে খেলা শুরু করা হলে ক্রিকেটারদের চোট লেগে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। সেই কারণে ঝুঁকি নেননি ম্যাচ রেফারি, আম্পায়াররা। প্রথম দিনের খেলা বাতিল করা হয়।

বিহারের বিরুদ্ধে ম্যাচই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিমন্যু ঈশ্বরণের শততম ম্যাচ। শুক্রবার খেলা না হলেও অভিমন্যুকে সংবর্ধনা জানাল বাংলা দল ও সিএবি। বাংলা দলের পক্ষ থেকে সকলের সই করা জার্সি তুলে দেওয়া হল অভিমন্যুর হাতে। সিএবি-র তরফে স্মারক, শাল তুলে দেওয়া হয় অভিমন্যুর হাতে। কল্যাণীতে হাজির ছিলেন সিএবির সচিব নরেশ ওঝা, সহ সভাপতি অমলেন্দু বিশ্বাস, কোষাধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তী ও যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস। সিএবি-র অবজার্ভার কমিটির প্রধান শ্রীমন্ত মল্লিক গোটা অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন। হাজির ছিলেন দুই দলের ক্রিকেটারেরাই।

পরপর চারটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে সেঞ্চুরি করে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ছেন অভিমন্যু। তিনি বলেছেন, ‘বাংলার হয়ে বরাবর নিজের সেরাটা দিয়েছি। দলের জন্য সর্বস্ব উজাড় করে দেব।’ যোগ করেন, ‘অনেকেই বলাবলি করছেন ভারতীয় দলে আমার সুযোগ পাওয়া উচিত। এরকম আলোচনা শুনলে ভাল লাগে। তবে দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।’

(Feed Source: abplive.com)