ডার্বিতে বাঙালি খুঁজকে দুরবিন লাগবে! বড় ম্যাচে তাই আওয়ার উঠল ভূমিপুত্র খেলানোর!

ডার্বিতে বাঙালি খুঁজকে দুরবিন লাগবে! বড় ম্যাচে তাই আওয়ার উঠল ভূমিপুত্র খেলানোর!

শনিবার বড় ম্যাচে আবারও ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে দিয়েছে মোহনবাগান। এই মূহূর্তে লিগের শীর্ষস্থান দখলের লড়াইয়ে ঢুকে পড়েছে মোহনবাগান। এখন সবে ম্যারাথন লিগ শুরু হলেও তাঁরা প্রত্যেকবারের মতোই লড়াই ঢুকে পড়েছেন। বাগানের অধিনায়ক শুভাশিস বোস। এর আগে অধিনায়ক ছিলেন প্রীতম কোটাল। তবে ইস্টবেঙ্গলে বাঙালি অধিনায়কও নেই, টিম টিম করে জ্বলছেন সৌভিক চক্রবর্তী, প্রভাত লাকড়া। যা নিয়ে এবার সমর্থকরা দাবি তুলল, দুই প্রধানেই ভূমিপুত্র খেলানোর।

এই প্রতিবেদনের ছবি দেখলেই বোঝা যাবে পাঁচজন ফুটবলারের একজনও বাঙালি নয়। ডার্বিতে এক সময় দারিয়ে বেড়িয়েছেন মনোরঞ্জন, সুব্রতরা। এখন সেখানেই প্রতি ম্যাচে গোল করছেন পেত্রাতোস। বাংলার ফুটবলের উন্নতিতে এবার তাই ডার্বিতে দাবি উঠল বাঙালি ফুটবলার খেলোনার। কয়েক বছর আগে সিএবিতেও একই দাবি উঠেছিল। কারণ বাংলা রঞ্জি দলেও প্রচুর ভিন রাজ্যের ক্রিকেটাররা খেলত প্রথম একাদশে।

বিদেশিদের রমরমায় আড়ালেই প্রতিভাবানরা-

আদ্য প্রান্ত পেশাদারিত্বে মোড়া মোহনবাগানের অবস্থা ইস্টবেঙ্গলের থেকে ভালো। ঘরোয়া ফুটবলার খেলা বা বিদেশি অথবা ভিনরাজ্যের। তাঁরা শেষ তিন চার বছরে টানা সাফল্য পেয়েই আসছেন। সেদিক থেকে ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য খুলছে না। ইমামি তারকাখচিত দল গড়েও  ক্লেইটন, দিয়ামানতাকোসরা দলকে জেতাতে পারছেন না। আর এখানেই লালহলুদ সমর্থকদের গাঁয়ে লাগছে। কারণ বিদেশিরা যখন মাঠ আলো করে খেলে বেড়াচ্ছেন, তখন প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও বসে থাকতে হচ্ছে বাঙালি সায়ন ব্যানার্জিকে।

দুই প্রধানে বাঙালি ফুটবলার খেলানোর দাবি-

শনিবারের ম্যাচে দুই প্রধানের বিদেশি বা ভিন রাজ্যের ফুটবলাররা যে ফুটবলটা খেলেছেন তার থেকে কোনও অংশে খারাপ ফুটবল খেলেনি মোহনবাগানের বঙ্গ অধিনায়ক শুভাশিস বোস অথবা সৌভিক চক্রবর্তি, প্রভাত লাকড়া। দুই বঙ্গ সন্তানই নিজেদের দলের জন্য প্রাণ দিয়েছে খেলেছেন, দৌড়ে বেরিয়েছেন এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। যা দেখেই যুবভারতীর গ্যালারি থেকে সমর্থকরা আওয়াজ তুললেন মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গলে ভূমিপুত্র অর্থাৎ বাঙালি ফুটবলার আরও বেশি করে খেলানোর।

‘সেই চেনা আবেগ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না’

ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলছিলেন, ‘ডার্বিতে যত বেশি বাঙালি ফুটবলার খেলবে তত বেশি তো আবেগ আসবে খেলোয়াড়দের মধ্যে। এত বড় দল, কিন্তু আমাদের বাঙালিদের সেই ঘটি বাঙাল দ্বৈরথের চেনা আবেগেরই অভাব টের পাওয়া যাচ্ছে। যত বেশি বাংলার ছেলেরা খেলবে, তত বেশি তো বাংলার ফুটবলেরই উন্নতি হবে ’।

বিদেশিরাই খেলছে, ভূমিপুত্র আর কোথায়?

বাংলাপক্ষের শীর্ষকর্তা গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলছিলেন, এই টিফো তাঁদের বাংলাপক্ষের সমর্থকরাই লাগিয়েছে। বাঙালিকে কিভাবে ভুল বোঝানো হয়েছে তা বলতে গিয়ে গর্গ বলেন,  ‘যখন ভারতে বিদেশি ফুটবলার খেলার নিয়ম আনা হয় তখন বলা হয়েছিল ভূমিপুত্ররা ওদের সঙ্গে খেললে উন্নতি করবে, তাই আনা হয়েছে। এখন দেখছি শুধুই বিদেশিরা খেলছে, ভূমিপুত্র খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না ’।

(Feed Source: hindustantimes.com)