বিধ্বংসী বোলিংয়ে ভর করে একপেশে ম্যাচে দুরন্ত জয়, আইপিএল ফাইনালে পৌঁছল আরসিবি

বিধ্বংসী বোলিংয়ে ভর করে একপেশে ম্যাচে দুরন্ত জয়, আইপিএল ফাইনালে পৌঁছল আরসিবি

চণ্ডীগড়: নয় বছর পর আইপিএল ফাইনালে  পৌঁছতে লক্ষ্য ছিল মাত্র ১০২ রান। এই রান তুলতে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না, হলও না। ১০ ওভার বাকি থাকতে আট উইকেটে পঞ্জাব কিংসকে দুরমুশ করে আইপিএল ফাইনালে পৌঁছল আরসিবি (PBKS vs RCB)। ৫৬ রানের ইনিংসে দলের জয় সুনিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন ফিল সল্ট (Phil Salt)।

রানের লক্ষ্যমাত্রা কম ছিল। তবে এই মাঠেই কেকেআরের বিরুদ্ধে মাত্র ১১১ রান ডিফেন্ড করে ইতিহাস গড়েছিল পঞ্জাব কিংস। এদিনও তেমনই কিছুর আশায় ছিলেন কিংসের সমর্থকরা। তবে তা আর হল কই। শুরু থেকেই আরসিবির ওপেনার সল্ট দুরন্ত আগ্রাসী মেজাজে ব্যাটিং করেন। অর্শদীপ সিংহ গোটা মরশুমে নতুন বলে নজর কাড়লেও, এদিন তাঁকে একেবারেই নিষ্ক্রিয় করতে সমর্থ হন সল্ট। কাইল জেমিসন অবশ্য নতুন বলে দুরন্ত স্যুইংয়ে খানিকটা আশা জাগিয়েছিলেন। তিনি ১২ রানে বিরাট কোহলিকেও সাজঘরে ফেরান।

তবে সল্ট থামেননি। পাওয়ার প্লেতেই ৬১ রান তুলে ফেলে আরসিবি। কিন্তু অপরপ্রান্তে সল্ট ২৩ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন। ময়ঙ্ক আগরওয়ালকে নিজের প্রথম আইপিএল ওভারে মুশির খান ১৯ রানে ফেরালেও রান এতটাই কম যে কিংস বোলারদের তেমন কিছু করার ছিল না। সল্টের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়ে ১৫ রানের ছোট্ট ইনিংসে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন রজত পাতিদার। সল্ট ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ১০ ওভারেই ১০২ রান তুলে ফেলে আরসিবি।

এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আরসিবি অধিনায়ক রজত পাতিদার। বিগত কয়েক ম্যাচে ইমপ্যাক্ট সাব হিসাবে খেললেও, এই ম্যাচে একাদশে ফেরেন তিনি। আরসিবি সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে মরশুমে দলের সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহক জশ হ্যাজেলউডও (Josh Hazlewood) একাদশে চোট সারিয়ে ফেরেন। দলের বোলিং আক্রমণের ধার বাড়ে। আর সেই ধারেই নাস্তানাবুদ হল কিংস। শুরুতে তিন ফাস্ট বোলারের বিরুদ্ধে পঞ্জাবের টপ অর্ডার ব্যাটাররা একের পর এক সাজঘরে ফেরেন। আর পঞ্জাব মিডল অর্ডারকে নিজের স্পিনভেল্কিতে ধ্বংস করেন সুয়াশ শর্মা (Suyash Sharma)। কেবল মার্কাস স্টোইনিসও ২৬ রানের ইনিংসে খানিক লড়াই করেন। তবে ৩৫ বল বাকি থাকতেই অল আউট হয়ে যায় পঞ্জাব।

জবাবে আইপিএল প্লে-অফের ইতিহাসে বলের নিরিখে দ্রুততম জয় পেল আরসিবি। গত বছর ফাইনালে কেকেআর ৫৭ বল বাকি থাকতে জিতেছিল। সেই রেকর্ড ভেঙে দিল আরসিবি। এবার ৩ তারিখে খেতাবি লড়াইয়ের জন্য প্রতিপক্ষের অপেক্ষায় আরসিবি। চতুর্থবার ফাইনালে উঠে অবশেষে আরসিবি খেতাব জিততে পারে কি না, সেটাই দেখার বিষয় হতে চলেছে।

আরও দেখুন