
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাম্প্রতিক সময়ে বারংবার কটাক্ষের মুখে পড়েছেন আমির খান (Aamir Khan)। ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Opeartion Sindoor) নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে দেরি করেছিলেন আমির। তাই তাঁর উপর অনেকেই ক্ষুণ্ণ ছিলেন। সেই সময়েই তুর্কিয়ের (Turkey) প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়াননের সঙ্গে আমিরের ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। ধেয়ে আসে কটাক্ষ। এমনকী এই ছবিকে কেন্দ্র করে আমির খানের আসন্ন সিনেমা ‘সিতারে জমিন পর’ নিষিদ্ধ করার দাবিও ওঠে। শুরু থেকে বিষয়টি নিয়ে চুপ থাকলেও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন আমির।
সম্প্রতি যখন আমিরকে জিজ্ঞেস করা হয় যে তিনি কি মনে করেন, সীমান্তে গিয়ে সৈনিকদের মনোবল বাড়ানো উচিত কি না, তখন তিনি বললেন, “আমি গিয়েছিলাম, হয়তো আপনারা জানেন না কিন্তু যখন কার্গিল যুদ্ধ হল আর আমরা জিতলাম, আমি একমাত্র ব্যক্তি ছিলাম যে আট দিন কার্গিলে ছিলাম। আমি লেহ-তে নামি, তারপর সেখান থেকে শ্রীনগরের দিকে যে রাস্তা যায়, সেই পথে আমি আট দিন ভ্রমণ করি। আমি প্রতিটি রেজিমেন্টের সাথে দেখা করি। ওই আট দিনে আমি শুধু সৈনিকদের সঙ্গে দেখা করেছি, আর তাঁদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম—আপনারা এই যুদ্ধটা আমাদের জন্য লড়েছেন, আমাদের রক্ষা করেছেন—আমি আপনাদের স্যালুট জানাই এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “কিন্তু ওই আট দিন আমি যেটা বুঝতে পারলাম, সেটা হলো—আমাদের সৈনিকদের তেমন উৎসাহের দরকার পড়ে না। তাঁরা এত কঠিন পরিবেশে থেকেও আমাদের রক্ষা করেন, তবুও তাঁদের মনোবল দারুণ—সবসময় হাসছেন, আত্মবিশ্বাসী , আর খুশি থাকেন। আমি ভেবেছিলাম আমি তাদের মনোবল বাড়াতে যাচ্ছি, কিন্তু বরং তাঁরাই আমার মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছে। ওই আট দিনে আমি তাঁদের সঙ্গে খেয়েছি, তাঁদের জীবন সম্পর্কে জেনেছি। এক রাতে আমি বাঙ্কারে, সীমান্তে তাঁদের সঙ্গেই থেকেছি। সেখানে ছয় থেকে আটজন সৈনিক ছিলেন, আর আমি মনে করি না কেউ এরকম কিছু করেছে।”
পাশাপাশি এক সাক্ষাৎকারে সেই ছবি প্রসঙ্গে আমির জানিয়েছেন, “এই ছবিটি ২০১৭ সালে তোলা হয়েছিল। সেই সময়ে আমার দেশের সরকারও তুরর্কিয়েকে সমর্থন করত। একজন তারকা হিসেবে যখন আমি অন্য দেশে যাই, তখন নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে হয়। তাই আমাকে যদি চায়ের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়, সেটা কোনোভাবেই প্রত্যাখ্যান করতে পারি না।’
সম্প্রতি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে তুরস্ককে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। বন্ধ হয়েছে সেই দেশের সঙ্গে সকল ধরণের যোগাযোগ। বিষয়টি সমর্থন জানিয়েছেন আমির। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দেশ সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। তুরস্ককে সমর্থন করা আমাদের একেবারেই উচিত নয়। আমাদের থেকে সাহায্য পাওয়া সত্ত্বেও তারা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল। এটা তো কোনোভাবেই ঠিক নয়।’
(Feed Source: zeenews.com)
