‘কুলি’র শ্যুটিংয়ে আহত অমিতাভ, জানতে পেরে কী করেছিলেন রাজু শ্রীবাস্তব

‘কুলি’র শ্যুটিংয়ে আহত অমিতাভ, জানতে পেরে কী করেছিলেন রাজু শ্রীবাস্তব

মুম্বই: অনুরাগীরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না। নেট দুনিয়ায় পোস্টের বন্যা বইছে। কিন্তু বিশ্বাস অবিশ্বাসের সমস্ত বাধা কাটিয়ে অন্য জগতে পাড়ি দিয়েছেন জনপ্রিয় কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তব। তাঁর কমেডি, তাঁর অভিনয়, তাঁর মিমিক্রি, তাঁর কথা বলার ধরন, সমস্ত কিছুই যেন অনুরাগীদের কানে বাজছে। অনুরাগীদের কাছে কমেডির রাজা ছিলেন তিনি। কিন্তু সেই হাসির রাজার প্রয়াণেই মন ভারাক্রান্ত তাঁদের। স্ট্যান্ড আপ কমেডির মধ্যে রাজু শ্রীবাস্তবের অন্যতম বৈশিষ্ঠ্য ছিল মিমিক্রি। যেকোনও তারকার মিমিক্রি তিনি এতটাই দক্ষতার সঙ্গে করতে পারতেন যে, চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন হত। তবে বি টাউনের সমস্ত তারকাদের মধ্যে অমিতাভ বচ্চনের গলা তিনি অবিশ্বাস্যভাবে নকল করতে পারতেন। তাঁর কথা বলার স্টাইল রাজু এতটাই দক্ষতার সঙ্গে করতেন যে, বোঝাই যেত না রাজু কথা বলছেন নাকি বিগ বি। রাজু শ্রীবাস্তবের (Raju Srivastava) প্রয়াণের পর সামনে এসেছে একাধিক অজানা তথ্য। ‘কুলি’ ছবির শ্যুটিংয়ে অমিতাভ বচ্চন যখন আহত হন, সে সময় কী করেছিলেন রাজু শ্রীবাস্তব?

অমিতাভ বচ্চনের জন্য কী করেছিলেন রাজু শ্রীবাস্তব?

জানা যায়, রাজু শ্রীবাস্তবের কাছে কার্যত ‘ঈশ্বর’ ছিলেন অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। ১৯৮২ সালে রাজু বয়স তখন মাত্র ১৮ বছর। সেই সময় ‘কুলি’ ছবির শ্যুটিং করছিলেন বিগ বি। ‘কুলি’ ছবির শ্যুটিং করতে গিয়ে আহত হন অমিতাভ। বেশ বড় ধরনের চোট পান অভিনেতা। সেই খবর পেয়েই মুম্বই পাড়ি দেন রাজু। বহু অনুরাগীদের মাধে তিনিও ভিড়ের মধ্যে অমিতাভ বচ্চনের জন্য ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন। কমেডিয়ানের ঘনিষ্ঠ সূত্র এই প্রসঙ্গে বলছেন, ‘রাজু ভাই রোজ বড়াপাও খেতেন আর হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতেন। বিগ বি যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন, তার জন্য রোজ প্রার্থনা করতেন। অমিতাভ বচ্চনকে ঈশ্বরের চোখে দেখতেন রাজু।’

প্রসঙ্গত, সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া বিবৃতিতে রাজু শ্রীবাস্তবের ভাইপো কুশল বলছেন, ‘তিনি (রাজু শ্রীবাস্তব) মারা গিয়েছেন দ্বিতীয়বার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। গত ৪০ দিন ধরে অনেক লড়াই লড়ছিলেন তিনি। গতকাল পর্যন্ত আমরা আশা করেছিলাম যে উনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু…’ প্রথমবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন রাজু। আর দ্বিতীয়বার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি আর ধকল সামলাতে পারলেন না। রাজু শ্রীবাস্তবের ভাই দীপু শ্রীবাস্তব বলেন, ‘আজ সকালে আমি দুঃসংবাদটা পাই যে ও (রাজু শ্রীবাস্তব) আর নেই। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক খবর। ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ও জীবনের সঙ্গে অনেক লড়াই করেছে।’ সদ্য প্রয়াত রাজু শ্রীবাস্তবের স্ত্রী শিখা বলেন, ‘আমি কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। এখন কোনও কথা বলে কী আর হবে? ও খুব কঠিন লড়াই করেছে। আমি সত্যিই আশা করছিলাম আর প্রার্থনা করছিলাম যেন ও ফিরে আসে। কিন্তু তা তো হয়নি। আমি শুধু এটাই বলতে পারি ও সত্যিকারের যোদ্ধা।’