খুনিদের মুক্তাঞ্চল বাংলা, যোগীর মতো লোককে প্রয়োজন, এনকাউন্টার করা উচিত, বললেন শুভেন্দু

খুনিদের মুক্তাঞ্চল বাংলা, যোগীর মতো লোককে প্রয়োজন, এনকাউন্টার করা উচিত, বললেন শুভেন্দু
কলকাতা: উত্তরপ্রদেশের এনকাউন্টার দাওয়াই এবার বাংলায় চালুর দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। মাটিগাড়ায় স্কুলছাত্রীর মৃত্য়ুর ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আর তা করতে গিয়েই এনকাউন্টার দাওয়াইয়ের সুপারিশ করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আমলে খুনিদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে বাংলা। যোগী আদিত্য়নাথের মতো লোককে এ রাজ্যে প্রয়োজন। এই ধরনের ঘটনায় এনকাউন্টার করা উচিত।” (Matigara News)

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নারীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ, দাবি শুভেন্দুর

মাটিগাড়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে গিয়েই এনকাউন্টারের সুপারিশ করেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, “পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নারীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ আমাদের শৈশবকে। এই সমস্ত ছোট ছোট মেয়ে…এখনও পরিণতই হয়নি…মমতার রাজত্বে খুনিদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে বাংলা।”

মাটিগাড়ার ঘটনার নিন্দা করেছে তৃণমূলও। কিন্তু শুভেন্দুর সুপারিশ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ যোগীরাজ্যের অনুকরণে যে এনকাউন্টারের সুপারিশ করেছেন তিনি, বরাবরই তা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। কখনও বিচারের আগেই গুলি করে অভিযুক্তকে মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কখনও আবার গুলি করে খুন করে, এনকাউন্টার বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাই বিরোধী দলনেতার মন্তব্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

মাটিগাড়ায় স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি। বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভও দেখান দলের বিধায়করা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, মমতার আমলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে একেবারে। শীঘ্রই কড়া পদক্ষেপ করার দাবিও জানান সকলে।

গত ২১ অগাস্ট দার্জিলিংয়ের মাটিগাড়ায় কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় কিশোরীকে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার ছ’ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হন অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বছর ১৫-র ওই ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে নির্জন এলাকায় নিয়ে যান অভিযুক্ত। কিশোরী ধর্ষণে বাধা দিলে, মাথা থেঁতলে খুন করা হয়।

সিসিটিভি ফুটেজও থতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে পুলিশ

স্কুলের ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় ওই কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মৃত কিশোরীর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেও। এর পর সিসিটিভি ফুটেজও থতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে পুলিশ। শেষে বাড়ি থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।

(Feed Source: abplive.com)