কেন ওভারটাইমের টাকা পাবেন না সুনীতা উইলিয়ামস? NASA-র নীতি নিয়ে প্রশ্ন, ট্রাম্প বললেন…

কেন ওভারটাইমের টাকা পাবেন না সুনীতা উইলিয়ামস? NASA-র নীতি নিয়ে প্রশ্ন, ট্রাম্প বললেন…

ওয়াশিংটন: মাত্র আটদিনের অভিযানে মহাকাশে গিয়েছিলেন। কিন্তু পৃথিবীতে ফিরলেন সাড়ে ন’মাস পর। কিন্তু বাড়তি ২৭৮ দিন মহাকাশে থাকার জন্য ‘ওভারটাইম’ বাবদ টাকা পাচ্ছেন না সুনীতা উইলিয়ামস এবং ব্যারি বুচ উইলমোর। সেই নিয়ে এবার মুখ খুললেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গোটা বিতর্কে শুধুমাত্র নিজের অবস্থানই জানালেন না, নিজের পকেট থেকে টাকা মেটানোর প্রস্তাবও দিলেন। (Sunita Williams)

গত বছর ৫ জুন Boeing Starliner মহাকাশযানে চেপে পৃথিবী ছাড়েন সুনীতা ও ব্যারি। গোড়া থেকেই ওই মহাকাশযানটিতে যান্ত্রিক গোলযোগ লেগে ছিল। মহাকাশে গিয়ে সমস্যা আরও বেড়ে যাওয়ায় সেটিতে চাপিয় সুনীতা ও ব্যারিকে ফেরানোর ঝুঁকি নেয়নি আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA. তাঁদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে বিকল্প ভাবনা শুরু হয়। বার বার সেই পরিকল্পনা ধাক্কা খেলেও, শেষ পর্যন্ত ইলন মাস্কের সংস্থা SpaceX-এর Crew-9 মহাকাশযানে চেপে পৃথিবীতে ফিরেছেন সুনীতা ও ব্যারি। (Donald Trump)

মাত্র আট দিনের অভিযানে গিয়ে এই যে বাড়তি সময় মহাকাশে আটকে থাকতে হল সুনীতা এবং ব্যারিকে, তার জন্য তাঁরা ‘ওভারটাইম’ বাবদ বাড়তি টাকা পেতে পারেন বলে জল্পনা ছিল। কিন্তু NASA-সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও বাড়তি টাকা পাবেন না সুনীতা এবং ব্যারি। এতদিনের বাড়তি পরিশ্রম, যার সঙ্গে জীবনের ঝুঁকি জড়িয়েছিল, তার জন্য কেন বাড়তি টাকা পাবেন না সুনীতা এবং ব্যারি, সেই নিয়ে যদিও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে। বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পকেও প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তিনি বলেন, “আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। যদি বাড়তি টাকা দিতে হয়, নিজের পকেট থেকে দিয়ে দেব আমি।” মহাকাশে এতদিন বাড়তি থাকার পরও এত কম টাকা কেন পাবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ট্রাম্পও।সুনীতাদের ফিরিয়ে আনার জন্য ইলন মাস্ককেও ধন্যবাদ জানান তিনি। ট্রাম্প বলেন, “ইলন না থাকলে… আরও দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকতে হতো ওঁদের। আর কে ফিরিয়ে আনতে যেত? ৯-১০ মাস থেকে শরীর নষ্ট হতে শুরু করে মহাকাশে।”

সুনীতা ও ব্যারি কেন বাড়তি টাকা পাবেন না, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সর্বত্রই। যদিও NASA-র একটি সূত্র জানিয়েছে, সুনীতা এবং ব্যারি কোনও চুক্তিভিত্তিক কর্মী নন। তাঁরা আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের কর্মী। অর্থাৎ নির্দিষ্ট মাসিক বেতন এবং সুযোগ সুবিধা আগে থেকেই বরাদ্দ রয়েছে তাঁদের জন্য। মহাকাশযাত্রাও তাঁদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। তাই মহাকাশে যাওয়া, সপ্তাহান্ত বা ছুটিতে কাজ করার জন্য বাড়তি কোনও টাকা পাবেন না।

মহাকাশচারীদের অভিযানের যাবতীয় খরচ-খরচা NASA-ই বহন করে। মহাকাশে তাঁদের যাওয়া এবং সেখান থেকে ফেরার খরচ, সেখানে থাকা, খাওয়াদাওয়া, ওষুধপাতি, সবের খরচই বহন করে NASA. পাশাপাশি, ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে দৈনিক বাড়তি ৫ ডলার যুক্ত হয় বেতনে।  সেই নিরিখে মহাকাশে বাড়তি সময় থাকার প্রায় ১ লক্ষ ২২ হাজার ৯৮০ টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়) পাবেন। সেই সঙ্গে সাড়ে ন’মাসের বেতনও অ্যাকাউন্টে ঢুকবে তাঁদের, ৮১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৮৬১ থেকে ১ কোটি ৫ লক্ষ ৯১ হাজার ১১৫ টাকা (ভারতীয় মুদ্রা)।  অভিযান ঝুঁকিপূর্ণ হলে, এর বাইরে বাড়তি টাকা কেন মিলবে না, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আর তাতেই নিজের পকেট থেকে টাকা মেটাতে প্রস্তুত বলে জানালেন ট্রাম্প।

(Feed Source: abplive.com)